বিমান ছিনতাইকারীর দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার

বিমান ছিনতাইকারীর দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার

মতিহার বার্তা ডেস্ক : বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ বিজি-১৪৭ ফ্লাইট ছিনতাইকারী মাজিদুল (২৬) সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে।

রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।

সে কী যাত্রীদের কোনো ক্ষতি করতে চেয়েছিল?

সে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করেনি। তার একটাই দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলার। তাকে আমরা কমান্ডো পরিচালনা করা পর্যন্ত কনটিনিউওয়াসলি (নিয়মিত) ফোনে ব্যস্ত রেখেছিলাম।

তিনি বলেন, যে কোনো বিমান ছিনতাই ঘটনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম কাজ হলো ছিনতাইকারীর সঙ্গে কথোপকথন করা এবং কথোপকথনের মধ্য দিয়ে ছিনতাইকারীকে ব্যস্ত রাখা। এই কাজটি বিমানবাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল মুফিদুল আলম অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করেছেন। যা আমাদের কমান্ডো অভিযান পরিচালনার পেক্ষাপট তৈরি করেছিল। এই অভিযানে ছিল, র‌্যাব, নৌবাহিনী, সোয়াত ছিল।

বিমান ছিনতাইকারীকে সেই যুবক দেশি না বিদেশি?

আমাদের পাইলট প্রথমে দেখে মনে করেছিলেন সে বিদেশি। কিন্তু আসলে সে দেশি। তার কাছে একটা পিস্তল ছিল। এছাড়া আমরা তার কাছে কিছু পাইনি।

তার পরিবার কোথায় ছিল?

সেটা আমরা জানতে পারি নাই। সে ফোন নম্বরটাও দিতে পারেনি। এমন ঘটনার পর বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের প্রথম কাজ ছিল ঘটনার দ্রুত সমাধান করে বিমান চলাচল স্বাভাবিক করা।

বিমান ছিনতাই ঘটনা হলে দুটি কাজ করা করা হয়, ছিনতাইকারীর সঙ্গে কথোপকথন করা এবং পরিকল্পনা করা। সে হয়তো তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনটা আমাদের দিত, তার বাড়ি কোথায়, তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা কত, এগুলো কিছুই জানা যায়নি।

বিমান ছিনতাই হলে যাত্রীদের জিম্মি করা হয়, এখানে তো জিম্মি করা হয়নি। যাত্রীরা নেমে এসেছে।

আপনাদের কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে কিনা?

সে জিম্মি করেছিল। সে কেবিন ক্রুদের জিম্মি করেছিল। তার সঙ্গে কথা বলেছি আপনার সব কথা শোনা হবে। এটা বলে সবাই আমরা ভেতর থেকে বের করে নিয়ে এসেছি।

যাত্রীরা বলেছেন, অপারেশনের আগে সেখানে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। বিমান ছিনতাই হওয়ার পরে যাত্রীরা অনেক কিছু শুনতে পারেন। এগুলো আমি বলব, মনের মধ্যে আতঙ্ক থেকে হয়।

সে তো যাত্রী ছিল, তার তো পরিচয় আছে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরও আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। তার ব্যাগ খুঁজে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।

বিমানে ওঠার আগে অনেক পর্যায় পার হতে হয়, সে কী করে অস্ত্রসহ বিমানে উঠল? নিশ্চয়ই দেখা হবে সে কী করে ভেতরে চলে এলো। তদন্ত করলে চলে আসবে।

ছিনতাইকারী যেখানে মারা গিয়েছে

তিনি বলেন, ভেতরে তার সঙ্গে গোলাগুলি হলে আহত হয়। পরে সে বাইরে মারা যায়। সুত্র: যুগান্তর।

মতিহার বার্তা ডট কম ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply